MARCH ISSUE,2020
Publishers: Kabita Ashram
Language: Bengali
Edition: March, 2020
Binding: Hardcover
কেমন বৃষ্টি নামছে দেখো, ফাগুনে!
যেই জায়গা জুড়ে ফুটেছিল লাল পলাশগুলো
উচ্ছাসে, সমস্ত পথ জুড়ে ছিল তার রক্তিম বিলাসিতা।
বৃষ্টি কাদায় এখন মাখামাখি। পলাশের রাঙা পথটিতে
যেন ঘনিয়ে এল অন্ধকার।
কেমন অচেনা লাগে!
আমার ব্যক্তিগত রক্তিম পথটিতে,
অন্ধচোখের সবটুকু কালো।
তুমি আমায় ভাঙলে অবিরাম—
তোমার কবিতার নিখুঁত নির্মাণে—
আমার প্রতিটি জ্যান্ত মুহূর্ত
তীব্র দাহ্যশলাকায় পুড়ে পুড়ে অঙ্গার।
তোমার নন্দনতত্ত্বের ভিতর পড়ে থাকে—
তীব্র আকুতিময় জীবনতৃষ্ণার ছাইভস্ম।
যেন জ্যান্তবলি হয়—কোনও নরমুণ্ডের—
সুন্দরের পূজায়—।
ভালবাসার ছাই দুই হাতে ভরে উড়িয়ে দিয়েছি
দিগন্ত আর সফেন জলরাশির দিকে
এলোমেলো চুল উড়তে চেয়েছে আগের মতোই
উড়িয়ে দিয়েছি
ভেজা গামছা থাকতে চেয়েছে বিছানায়, চাদরে
রেখে দিয়েছি
তোমার চলে যাওয়ায় জীবন পাল্টাতে চায়নি একটুও
পাল্টে যেতে দিইনি
শুধু,
তোমার ভালবাসা পুড়িয়ে অসীম শূন্য বানিয়েছি
ছাই উড়িয়ে দিয়েছি দিগন্তের শূন্যে
ছাই ভাসিয়ে দিয়েছি সফেন অসীমে
এক অন্তহীনতা তোমায় অহংকারী করেছে
এক অন্তহীনতা তোমায় অসামান্য করেছে,
সময়ের সমস্ত ক্লীব-চিহ্নকে পরাস্ত করে
নিয়মের সমস্ত রূঢ়তাকে পদানত করে
তুমি আসো।
মেঘলা দুপুরে টলমলে দুঃখগুলো যখন আসে
মোহময় নির্জন দিগন্তকে কাছে নিয়ে আসে,
নদীর আলোর মতো তুমি, নীল ব্যথার মতো,
অন্তহীন আকাশের মতো, ভিজে চোখের মতো
তুমি আসো।
এক অন্তহীনতা তোমায় অহংকারী করেছে
এক অন্তহীনতা তোমায় নিঃসহায় করেছে
সেই অসহায় দুর্দান্ত শ্রাবণঘন মত্ততায়
একাকী লাবণ্যের শাশ্বত আদুরে হাওয়ায়
তুমি আসো।
আমি অপেক্ষা করি অসহায় সমর্পণ নিয়ে,
আমি অপেক্ষা করি সমস্ত অন্ধকার নিয়ে,
উজানি বর্ষার মতো, প্রবল জ্যোৎস্নার মতো,
গাঢ় ঢেউয়ের মতো, অন্তহীন আলোর মতো
তুমি আসো।
পরবর্তী পাঁচদিনে প্রবল ঝড় বৃষ্টির কথা
জানানো হয়েছে আবহওয়ার পূর্বাভাসে
ঘাড়ে ব্যথা মেজাজে উত্তাপ কণ্ঠে বিরক্তি,
ডাক্তার বললেন
মেনোপজ উঁকি দিচ্ছে!
তলপেটে মাটি ও মাঠের রক্তজবা
কোমরে বাস্পীভূত আঙ্গুলের দাগ
ছেলে ডাক্তার মেয়ে উকিল
বাড়িতে ঝাউতলার শীতল
কেউ কেউ বলে সুখের বাগান
বাগানে মরশুমী ফুল পাতার বাহার
বাহারের মাঝে হতাশার হিম
ফুলের নরমে নিরাশার নীল
কানের গরম!
ঝিরঝিরে বৃষ্টি দিয়ে শুরু হয় কথাবার্তা
হাসতে হাসতে ঝড় প্রবল থেকে প্রবলতর
বিদ্যুৎ ঝলকানি পর পর পাঁচদিন
শীতের মরশুমে মেনোপজ হারমোনিয়াম বাজায়
রিডের উপর আছড়ে পড়ে মিঞা কি মালহার!
“কাঁড়ান কাঁড়ান পা ধরি
কাঁড়ান এবার যা বাড়ি
বিয়েন সাঁঝে বাদলানি
ভাল্লাগে না ডাওরানি
ঢাক গুড়গুড় মেঘের ডাক
তরাসে বুক চিচিং ফাঁক
আর ভালো না বরষা কাল
শরৎবালার ফরসা গাল
রোদ ওঠো রে চকোসা
আঙিনায় দোবো নকশা
আয় খুকু আয় মায়ের কোল,
গরম ভাতে ঝিঙের ঝোল।
তাপ্তা ভাতে ঝিঙের ঝোল
ভাত খাবি তো হাঁড়ি তোল।”
বর্ষার প্রকোপ শেষ হয়ে এলো। গাঁয়ের অধিকাংশ বাড়িঘর মাটির। খড়ের ছাউনি দেওয়া কোঠাবাড়ি। সম্পন্ন কারো কারোর টিনের চাল। যার যেমন সাধ্যি বাড়ি ঘর সারাই করে নিচ্ছে। সম্পন্ন কারো কারোর টিনের চাল। পুব বা দখিন মুখো। নীচে ডাইনে বাঁয়ে দুটি ঘর, মাঝে বা পাশে সিঁড়ি, প্রশস্ত বারান্দা। উপরেও একই প্যাটার্ন। দাওয়া উঁচু। পিছনে ইঁটের গাঁথনি দিয়ে ঘেরবন্দী করা। ঝড়জলের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সবাই মাটি, বালি আর আলকাতরা মিশিয়ে খরোটি করে। তারপর আর একপ্রস্থ আলকাতরা বুলিয়ে দেয়। জানলা দরজা কড়ি বরগা ষড়দলে দিত, উই ধরত না। সারা বর্ষায় যা ক্ষতি হ’তো তা আবার মেরামত ক’রে শরতের মাঝে, পুজোর আগে আগে দেওয়া হ’তো আলকাতরার প্রলেপ। এখনও এই রকমের ঘরবাড়িতে আলকাতরার প্রলেপ পড়ে। তালপাতার বেগো (ডাঁটি) একটু থেঁতো ক’রে ব্রাশ বানানো হয়। হাতে-মুখে লাগলে কেরোসিন দিয়ে ওঠাতে হয়। জামাকাপড়েও দাগ লেগে যায়। মেঘে রোদে, কাশ ফুলে সেজে উঠছে গ্রাম, আর আলকাতরার ঝাঁঝালো গন্ধে তোমরা টের পেতে ক’দিন পরেই মহালয়া… পুজো আসছে বললেই তো আসে না। কত কসরত, কত প্রস্তুতি, কত প্রতীক্ষা। এমনিতেই তোমাদের গাঁয়ে দুর্গাপ্রতিমা নেই, ঘটে-পটে পুজো। কিন্তু মুখার্জীবাড়ির পুজোয় যাবতীয় আচার বিধি মানা হয়। তোমার বাবা পুঁথি দেখে মন্ত্র বলিয়ে দেয়। বলিদানও করে। পুজোবাড়ির আশেপাশের জঙ্গল তোমরাই কেটে ঘাস আগাছা চেঁছেছুলে পরিষ্কার কর। পুজোর ছুটিতে বড়কাকা অন্ডাল থেকে তোমাদের জন্য আনবেন নতুন জামাপ্যান্ট। সেই জামাপ্যান্ট পরে তোমাদের পুজো। পুজো মানে চারদিন আটবেলা পেট পুরে খাওয়া দাওয়া আর শহর থেকে আসা নানা কুটুমদের দেখা পাওয়া। হাসি আড্ডা গান গল্প আর সারাদিন ডাংগুলি। বুবনি মনোরমাদের সঙ্গে দিদি বোন খেলে সাতগুটি নয়তো চু কিতকিত। আর কখনো জলেকুমির ডাঙায় বাঘ। একটু আলোআঁধারি হলে লুকোচুরি।
বর্ষার জলে পুকুরগুলো ভরে উঠেছে। কালীসায়ের বাড়ির পুকুর ঘোষপুকুর কেষ্টপুকুর ঠাকুরপুকুর মুচিপুকুর মাঝেরগড়ে কদম গড়ে খুশিলে পুকুর বিশের পুকুর সব জল থইথই। পদ্মের গন্ধে পুকুর গুলো মউ মউ। কিনারে কিনারে লাল শালুক নীলশালুক সাদা শালুক উঁকিঝুঁকি মারে। তুমি আর অনেকগুলো তোমার বয়সী ছেলে চান করতে নেমেছ। সমানে পাল্লা দিয়ে সাঁতার কাটছে রেবা মনোরমা বুবনি। ঠিক তক্ষুনি জেঠামণির গম্ভীর আওয়াজ এই মেয়েরা যা ওঠ, জ্বরসর্দি বাধাবি?
গ্রাম থেকে শহর যেতে গেলে আসতে হবে কোপাই স্টেশন। বর্ষায় গ্রামের রাস্তায় এক হাঁটু কাদা জল। গ্রামে একটি মাত্র সাইকেল সেণ্টু জেঠার। সেই সাইকেল প্রায় পাঁচমাস তুলে রাখতে হতো। গাঁয়ের পথের কাদা ঠিক করে শুকোতে কার্তিক মাস চলে আসতো। এখন রাস্তায় ইঁট মোরাম পড়েছে। রাস্তা এখন রাঙা ধুলোয় মাখামাখি। সেণ্টু জেঠা আর তার সব ভাইদের তোমার মা ‘জেঠামণি’ বলতে শিখিয়েছিল। র্যারলে সাইকেল চালিয়ে জেঠা বোলপুরে যায়। সমবায় ব্যাঙ্ক থেকে চাষীদের কর্জ নেবার কী সব সুবিধা করে দেয়। বিকেলবেলায় দলে দলে চাষীবাসী মানুষের ভিড় লেগে থাকে। তুমি জেঠামণির ঘরে বিকেল হলেই হত্যে দিয়ে পড়ে থাকতে। সকালের আনন্দবাজার আসতো বিকেলের দানাপুরে। সেই কাগজের পাতা উলটে কখন তুমি অরণ্যদেব আর ম্যান্ড্রেক জাদুকর পড়ে নেবে। সেজমা তোমাকে ভালোবেসে চা দেবে। মৌরী দেওয়া পান দেবে। আর কখনো তোমাকে আসনে ঘর তোলা শিখিয়ে দেবে। চটের উপর উল আর শাড়ির পাড়ের সুতো দিয়ে আসন
বোনা কী কৌশলে তুমি শিখে নিচ্ছ ফাল্গুনী । চৌকো কোনাকুনি সোজা উলটো সব। ভালোবাসে বলেই সেজমা উঠোন থেকে ডাক দিলেই তুমি একছুটে ঐ বাড়িতে গিয়ে হাজির হও। সেজমার বাড়িটাও আদিবাড়ি, এদের সব ভাইবউ ছেলেমেয়েদের ওঠা বসা ওখানেই। কত পুজো পাব্বন ভুজোনো বিয়ে পৈতে এই বাড়িতেই। এবারও কত নাড়ু হচ্ছে। খই নারকেল তিল ছোলা বোঁদে শিরির চিঁড়ে কত নাড়ু। দেবানপুরের নারাণমোড়ল নাড়ু করতে এসেছে। আর তুমি মনোরমা রেবা সমীরদা কালীচরণ সকলে মিলে পাকিয়ে নিচ্ছ। পুজোর ক দিন আগেই নাওতাড়া থেকে বড়দিদিমা এসে গেছে। চালুনিতে রেখে একটু শুকিয়ে নেবার পর সেজমা পয়া আর টিনে ভরে রাখছে। সারা বাড়িতে পুজোর গন্ধ। সেজমা সবাইকে শেষবেলা নাড়ু খেতে দিচ্ছে। ভিয়েন করা গুড়ের নাড়ু আর পানের সঙ্গে মৌরী জর্দার একটা মিশ্রিত গন্ধ সারা ঘরে। বাড়ির নিচের দেয়ালগুলো আলকাতরা দেওয়া হয়েছে। এখনো শুকোয়নি। জেঠামণি ঠেস দিয়ে বসে স্রু স্রু করে চা টেনে নিচ্ছে আর তক্ষুনি গেঞ্জির পিছনে কালো চটচটে টান-বলে ওঠে- ‘এই যা আমার গেঞ্জি গেল।’ বাড়িসুদ্ধ সবাই হাসতে
গিয়েও যেন ভয়ে হাসতে পারছে না। জেঠামণিকে সবাই ভয় পাও। শেষে জেঠামণি নিজেই হো হো করে হাসলেন, আর আমরাও। গম্ভীর গলায় ষষ্ঠীর দিন সন্ধ্যের দিকে জেঠামণি এসে বাড়ি বাড়ি আনুষ্ঠানিক নেমন্তন্ন করে যেত- “কাল থেকে রান্না বান্না বন্ধ, পুজোবাড়িতেই দিনে রাতে খাবি সব। যাবি ফাগুন।” পুজোবাড়িতে বড় মেজ সেজ ছোটজেঠামণিদের ভারিক্কি চাল। কেউ বসে রান্না বান্নার তদারকি করে কেঊ পুজোর বাড়িতে বসে দেখে নিচ্ছে সব ঠিক আছে কিনা। গ্রামের পুজোবাড়িতে রান্নার একটা দেশীয় খাঁটি গন্ধ আছে। সকালে পদ্মপাতার উপর মুড়ি আলুরদম বা কুমড়োর ছক্কা নাড়ু মুড়কির গন্ধ। দুপুরে পদ্মপাতার উপর গরম ভাত কলাই ডাল একটা শাক, দু’রকম ডাল কালো
কলাই মটর মুগ, ছ্যাঁচরা, আলু-কপি বা আলু-পটল, মাছ, কচুর মলম, চাটনি, কখনও কুমড়ো কচু বড়ি বেগুনের নিরামিষ টক এই সবের একটা আদুরে আদুরে গন্ধ। নবমীর দিন মহাপ্রসাদ মানে বলির মাংস পিঁয়াজ রসুন ছাড়া, আদাজিরেগরমমশলাঘি দিয়ে রান্নার মৌতাতি গন্ধ। রাতের দিকে কলা বা পদ্মপাতার উপর পাতলা মুসুর ডাল, পোস্ত, মাছের টক এই সবের মায়াজড়ানো সুবাস। এই সব গন্ধে তোমার বড় খিদে লাগতো ফাল্গুনী। তুমি তোমার ভাই বোনেরা পেট ভরে আনন্দ করে খেতে। সারা বাড়িতে পুরুষদের তদারকি ও আয়োজন। মহিলাদের পুজোর যোগাড় করার দায়িত্ব।
পুজো মানে শুধু শিউলির গন্ধ নয়। কাশফুল নয়। ওই সব গন্ধ মাখছ সারাবেলা। দেখেছ তুমি সারাক্ষণ । এই সব শিউলির গন্ধটন্ধ নিয়ে অনেকে এখন ন্যাকামি করে, আর রেস্তোরাঁয় গিয়ে কন্টিনেন্টাল খায়। ওদের কথা ছাড়ো ফাল্গুনী। ওরা সব ছিন্নমূল। ছিন্নসংস্কৃতি। বিবিক্তপরম্পরা।
পূজাপার্বণে শুক্তো হবেই। কাঁচকলা, করলা, বেগুন,আলু, মুলো, বড়ি দিয়ে মাখোমাখো শুক্তো। গরম ভাত, গন্ধরাজ লেবু, গাওয়া ঘি, প্রথম দফার ভাত শেষ। তার পরে আবার ভাত, শুকনো লঙ্কা ঘি ফোড়ন দেওয়া মটর ডাল, বা হিং ফোড়ন দেওয়া অড়হর ডাল, এর সঙ্গে কুমড়ো কচুর তরকারি। তারপর আবার ভাত। আদা ফোড়ন দেওয়া কালো কলাই ডাল তার সঙ্গে আলু কপি বা পটল। কখনও মাছের মুড়ো দিয়ে মুগডাল। সব দিশি ব্যাপার। পুকুরে মাছ ধরানো হয়। মাছ পাওয়া যায় ধান জমিতে। খলসে পুঁটি ময়া, সেই মাছের ঝাল চচ্চড়ি আর দশমীতে সিঁদুর লাগিয়ে যাত্রা। তোলা হয় পদ্মপাতা। কলাপাতা পদ্মপাতার চল ছিল বেশি, কয়েক জন খুব খেতে পারত, তাদের একটি পাতায় হত না, তিনটে পাতা জুড়ে নিয়ে কাঠা খানেক জায়গায় ভাতের পাহাড় নিয়ে বসত, আর মধ্যে খানে গর্ত করে তিনটি ডাবু ডাল মানে ধরুন যতখানি ডাল একবার আপনার পরিবারে লাগে,
ততটা নিত। মা মাসিরা তাদের খাইয়ে দেখে কত আনন্দ পেত। এই বোলপুর শহরে কতদিন আছো তুমি। কিন্তু ওই ডাক শোনোনি এখানে। যেমন করে জেঠামণি ডাকত। সেজমা ডাকত। মান্তু পিসি রাঙাপিসিরা ডাকত।
এখন বাড়িতে বসেই সংগ্রহ করতে পারবেন আমাদের প্রকাশিত বইগুলি। ভিজিট করুন আমাদের অনলাইন সপ, আর কিনুন আমাদের বই। নিচের BUY NOW বোতামে ক্লিক/ট্যাপ করলে পৌঁছে যাবেন আমাদের সপ পেজে।
MARCH ISSUE,2020
Publishers: Kabita Ashram
Language: Bengali
Edition: March, 2020
Binding: Hardcover
MONSOON ISSUE,2020
(April, May, and June together)
Publishers: Kabita Ashram
Language: Bengali
Edition: June 2020
Binding: Hardcover
EKTI MILAN DAABI
Author: Amit Saha
Publishers: Kabita Ashram
ISBN-978-81-944829-6-3
Language: Bengali
Edition: January 2020
Binding: Hardcover
DARJA KHOLA ANANTA
Author: Biplab Mishra
Publishers: Kabita Ashram
Language: Bengali
Published : September 2018(Ed. 1st)
Binding: Hardcover
KARNA
Author: Anupam Mukhopadhyay
Publishers: Kabita Ashram
Language: Bengali
Published: November 2018(Ed. 1st)
Binding: Hardcover
BINAYAK RUKUR DIARY
Author: Binayakruku
Publishers: Kabita Ashram
ISBN-978-81944829-1-8
Language: Bengali
Edition: July 2019(Ed. 3rd)
Binding: Hardcover
Gilgamesher Mahakabya
Author: Sujan Bhattacharya
Publishers: Kabita Ashram
ISBN-978-81945144-0-4
Language: Bengali
Edition: August 2019(Ed.-1st)
Binding: Hardcover
Brahma kamaler Renu
Author: kumaresh Tewary
Publishers: Kabita Ashram
Language: Bengali
Edition: 1st, November January 2019
Binding: Hardcover
Geeta
Author: Tamal Bandyopadhyay
Publishers: Kabita Ashram
ISBN-978-81-944829-0-1
Language: Bengali
Published: 2 January 2020
Binding: Hardcover
GHUM ESE TOMAKE JAGAK
Author: Joydeb Bauri
Publishers: Kabita Ashram
Language: Bengali
Published : January 2019
Binding: Hardcover
JYOTSNA BINDHE AACHE
Author: Bankim Let
Publishers: Kabita Ashram
Language: Bengali
Edition: January 2019
Binding: Hardcover
KABITA SANGRAHA
Author: Swapan Chakraborty
Publishers: Kabita Ashram
ISBN-978-81-944829-2-5
Language: Bengali
Published : December 2019(1st Ed.)
Binding: Hardcover
KABITA SANGRAHA
Author: Ranabir Dutta
Publishers: Kabita Ashram
ISBN-978-81-945144-1-1
Language: Bengali
Published : January 2019(Ed. 1st)
Binding: Hardcover
SHANTINIKETANER PHOOL
Author: Shri Jajabor
Publishers: Kabita Ashram
Language: Bengali
Edition: December 2018(Ed. 1st)
Binding: Hardcover
EI TO AAMAR KAAJ
Author: Bibhas Roy Chowdhury
Publishers: Kabita Ashram
ISBN-978-81-944829-8-7
Language: Bengali
Published : January 2019(Ed. 1st)
Binding: Hardcover
ALOR JAKHAM
Author: Nityananda Dutta
Publishers: Kabita Ashram
ISBN-978-81-944829-3-2
Language: Bengali
Edition: January 2020
Binding: Hardcover